কিছু দৃশ্যের মন্তাজ
১
মৈরেয় পান করে, কথা বলতে এসেছ? আজ
নভোতল, অগ্নিময়। ধূলিকণার মতো বাতাসে উড়ছে উদাসীনতার বীজ।
এমনকি, বানরের বীর্য লেগে আছে গাছের পাতায়। কেঁপে উঠছে
চাঁদে ওঠার সিঁড়ি। হিমে কাঁপছে তোমার রক্তিম চোখের পাতাও। এসে পড়েছ যখন,
সন্দেহ আর সন্দেশগুলো খেয়ে শেষ করো। নৈঃশব্দ্যকে করো আরও ভয়াবহ।
যাকে কালকূট বলে জানো, কণ্ঠ তার বিষজর্জর এখন, অজস্র প্রহারের চিহ্ন তার সারা গায়ে, মাটির
দেয়ালের ’পরে বসে থাকে সারাদিন, ভক্তিসংগীত
গায় আর মাঝে মাঝে তার চুন-পোড়া জিভ দিয়ে ভেংচি কাটে আমার দিকে তাকিয়ে, বলে, ‘আমি তোর সাপভাই, কানাই রে, মনে করে দ্যাখ, আমি তোর গতজনমের সাপভাই...
২
আমি কি পারব, এত ললিতা, এত সংশোধন!
বিস্তীর্ণ জলরাশি আর এই অপরিসীম সূর্যাস্ত, যেন সুধা,
দৃশ্যের, প্রার্থিত নৈঃশব্দ্যের। ঘাড়ের
রোঁয়া ফুলিয়ে ঝগড়া করছে কয়েকটি পাখি। নাকি এসব কোনো
ড্রিম-সার্ফিং! দৃশ্যের মন্তাজ ফেলে কেউ একজন নিরুদ্দেশ হল উটপাখির পিঠে চেপে।
কোনো ঘুমন্ত ললিতার পাশে সংশোধিত কবিতার পাতা ঘরময় ছড়িয়ে রইল। গলায় ঘণ্টা-বাঁধা
হুলো বিড়াল প্রদক্ষিণ করছে তার বাড়ি। শিউলিগাছ নিকটে নুয়ে পড়ছে আরও।
৩
সূর্য আর চন্দ্রে ভাগ
হয়ে পড়ছে তোমার কথাগুলো। ঋষির চোখে,
পল্লবচূড়ামণি আর চূড়ামণিপল্লব, কে বেশি
সুখী? ডাকাবুকো সৈন্যদল কুলপর্বতের শীর্ষে উঠছে। অপার
লাঞ্ছিত কেউ বলছে অনুচ্চস্বরে, আপনার তপোশ্চর্যা নাই,
তবু, আপনারই জয় হোক, মহারাজ! স্তম্ভন, আকর্ষণ, বশীকরণ, সবই অল্পবিস্তর শেখা হল।
পাঠমুগ্ধ!
ReplyDelete