Pages - Menu

Wednesday, September 28, 2016

সেজুল হোসেন

অন্তর্গত অনটন

এই হেমন্তে একটা সুকঠিন হাতছানি আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে পাতাল থেকে পাতালেপার্থিব প্রলোভন, মায়ামাখানো হৃদয়, ঈর্ষার মতো সুন্দর শরীর নিয়ে নারীর নড়ে ওঠা (তার যৌবনে আরো কিছু বিশৃঙ্খলা) প্রবল থেকে আজ এতোটাই প্রবলতরগভীর দিয়ে পালানোর আগে মৃত মানুষ এবং তার হীরকখণ্ডের মতো  স্নেহের আয়ুএকবারও থমকে দাঁড়াবে  না। বরং আর কিছুকাল শুয়ে থাকতে চায় সুন্দরে, কিছুকাল নরকভোগের মতো পঙ্কে পড়ে থেকে  পোহাতে চায় সকালবেলার প্রথম রোদ্দুর, যাদের কণাতে মিশ্রিত নয় ঈর্ষা অথবা রক্তক্ষরণের ছায়া। 
জেনে নেবো, জেনে নিয়ে বাজাব বিচ্ছুরিত আলোর মহিমা।
নরকে সুন্দরে গড়ে ওঠা অন্তর্গত এই অনটন, কীসের পূর্বাভাস? খুব অনভিপ্রেতভাবে মৃত সুন্দরীরা আজ উঠে দাঁড়াবে? 
থাকো তুমি জীবিত কিংবা মৃত।
পদতলের মাটি ধরে রাখব 
চোখের বরফজল হোক আরো নম্র
বেদনাবিজড়িত কথা কেমন গচ্ছিত ভেজাপাতার ওপর
 
হাত রেখে শুকনো খড়ের ওপর হৃদয়মর্মর কতটা
 
গভীর অ
নুভূ 
বুঝি না, জানবো না কোনদিন
চোখ ছেনে, দৃষ্টি পুড়িয়ে, আলো-উদ্ভাবক হতে গিয়ে অভিযুক্ত হয়ে আছি। সব অগ্নির ভয়ংকর কাণ্ড সমস্ত আমার কাঁধে ঠে এসেছে আজ। তাই বলে ভেবো নাভালোবাসার পক্ষে যত ক্ষয়ক্ষতি প্রিয় সন্তানের মতো পারব না কোলে তুলে নিতে। পাথরের ওপর পাথর ফেলে আমি কেবল বিনাশ নয়, শান্তির। 
পাথরের ওপর পাথর ঠুকলে, কোনো কোনো মু
হূর্তে বেরিয়ে আসে সুর। আমার এখন সেই দিনের মধ্যদুপুর।
ভিন্নঘাটের  স্নানার্থী আমি সহস্র বিনিদ্র রাতের অবসরে খুলে ফেলেছি সব জৈব ছায়া।




No comments:

Post a Comment