রমজান
বড় বিষণ্ণ লাগে তার ইদানিং
কি অদ্ভুত এক আলো সেই
মনখারাপের মেঘে ভিজে ভারি করে তোলে
কৃষ্ণনগর থেকে
চট্টগ্রামের দিকচক্রবাল ,
প্রথম আষাঢ় নামে
আর কয়েক শো জন্মের
অপেক্ষা নিয়ে মাগরিব-বেলায় সে শুধু ভিজতে থাকে।
প্রতি ক্ষণে অন্তর্জাল দৃশ্য নির্মাণ করে
সেখানে পঞ্চম বেদের সাত
শর্ত পূরণ করা তার পুরুষ
গায়েবী কণ্ঠে হেসে লৌহে
মাহফুজের ঠিকানা জানায়
আর সে পদ্মগন্ধের উৎস
খুঁজতে খুঁজতে
সন্ধান পেয়ে যায় জন্মদাগ
এক তিলের
যার চারপাশে আঙুল দিয়ে চক্র এঁকে দেওয়া যায়।
সেহরিতে যাওয়ার আগে
সিঁদুরের ঠিক নিচে সঙ্গোপনে আদর রেখে
শয্যা ত্যাগ করে তার সুফি
বোধিসত্বকে অন্তরে ধারণ
করলেও
তার মায়া বন্ধনকে কোটি
অভিবাদন জানায় তখন
সে আর তার পরাশক্তি ।
জাতিস্মরেরা অভিশপ্ত হয়
চোখের সামনে দিয়ে তারা
অহরহ ভেসে যেতে দেখে
পাল তোলা বাণিজ্য তরী, কাঁটা
তার হীন প্রদেশ
হয়তো তখন তার সামনে সূর্য
সিদ্ধান্ত খোলা
আর বহু বহু দূরে তার
নিয়তির পাশে ফজরের আজান ।
প্রথম দুই ইন্দ্রিয় বড়
দিশাহারা বোধ করে এই অবস্থানিক বিচলনে
আর সেই মুহূর্তেই তার মনে
পড়ে যায়
ভোর রাতের আদরে ঘুমিয়ে
পড়ার আগে
আজ তার স্নান করা হয়নি।
No comments:
Post a Comment