ক-এ কুমারী, কঁ-এ ঈশ্বর
১
ল্যাম্পপোষ্ট।
নিচে জল জমে আছে
হলুদ আলো পরে আছে। ঠিক ডুবে নেই
তুমি তো হলুদ শাড়ি পরে আছো
ওখানে যেওনা
ঐ হলুদজল। বেশি ভার্জিন মনে হচ্ছে
আমার
ভেসে আছে নিজের মতো। সারারাত
দিনের প্রথম নিভিয়ে রাখা ল্যাম্প
চলো ওষুধের প্যাকেট নিয়ে ছাদে উঠে যাই
আর একটা বসন্ত
পেরোলেই
উত্তরের ঝাউবন ঘন হয়ে যাবে
২
কি হলো, বলোতো
আজ ছাদের উপর এতো ময়ূর।
উড়ছে না
কোকিল বসে আছে। ডাকছে না
ছেঁড়া টিকিট। প রে আ ছে
আর ঝরে পরছে, সাদা শাদা বালি।
শূন্য থেকে তোমার কাছাকাছি
ওরা তো কোনো সৈকতের নয়
বারাণসীতে ওদেরকে দ্যাখিনি
ঈশ্বর কি আজ ভুল করেছেন। নিয়মে
আমি কিন্তু নিয়মিত পঞ্চবটি ধূপ দিই
বালিগুলো বড্ড মিহি
ঐ পোড়া পঞ্চবটি ধূপের মতো
৩
চলো কিছু বালি তুলে নিই
কিছুটা তোমার আঁচলে
কিছুটা আমার রুমালে
কিছুটা ওষুধের প্যাকেটে
তবে সাবধান, রুনু
কোকিলগুলোর খুব কাছে যেওনা
শুনেছি, ওরা নাকি
আজকাল কাক লুকিয়ে রাখে
৪
আস্তে আস্তে নেমে এসো
এখন মাকড়শা জাল বুনছে
মুখে জড়িয়ে যেতে পারে
রোজই এমন হয়
চিলেকোঠার শার্শির আলো
ওর খাদ্য পিরামিড
আস্তে আস্তে , দ্যাখো কে রেখে গ্যাছে
সিঁড়িতে একটি পুতুল ও একটি লটারির টিকিট
ওগুলো ডিঙিও না, পাশ কাটিয়ে যাই চলো
নাহলে, হয়তো কেউ চিঠি লিখতে দেবেনা
আমাদের
৫
আজ ঘরটিকে বেশ তরুনী লাগছে
তোমাকে সবুজ
ভাগ্যিস ঐ বালি কুড়িয়েছিলাম
ঐ পুতুল, ঐ টিকিটের সাথে অবিচার করিনি
তুমি কোকিলের বায়না ভুলেছ
ল্যাম্পপোষ্টের খুব কাছে যাইনি
সত্যিই, ভাগ্যিস
ওষুধটি খেয়ে নিই, দাও
আরও একবার ঈশ্বরকে ধূপ দিয়ে আসি
তুমি ঘন সবুজ হতে থাকো
আমার বুকে অজস্র পাতা নিয়ে ফিরে আসছি
রঙ মেলাবো, রুনু
ঈশ্বরকে কুমারী রঙ্গে সাজতে দেখলাম... রঞ্জনদা'র একটা লাইন বলতে খুব লোভ হচ্ছে "তাহাতে কোকিল বসলে"
ReplyDeleteBesh lekha
ReplyDeleteBesh lekha
ReplyDeleteঈশ্বর ও কুমারী, ঝাউবন, চিলেকোঠার আলো, পঞ্চবটী ধূপের ধোঁয়া ও গন্ধ সব মিলেমিশে এক সুন্দর প্রেমানুভূতি ছড়িয়ে পড়ল।
ReplyDeleteএকটা সুন্দর প্রেমানুভূতি
ReplyDeleteশুনেছি ওরা নাকি আজকাল কাক লুকিয়ে রাখে......।। অসামান্য অভিব্যাক্তি। খুব ভালো লেগেছে।
ReplyDeleteএই কবিতার সিরিজ কতটা ভালো লেগেছে বলে বোঝাতে পারবো না । প্রথম থেকেই অন্য ভাবনার দিকে চলে যাই পাঠ করার মুহূর্তে
ReplyDeleteখুব সুন্দর !
ReplyDeleteক্রমশ পিকে উঠেছে শান্তনু দা। 'রং মেলাবে, রুনু'ধাক্কা দিল। যেমন দিয়েছিল তুমি তো হলুদ শাড়ি পরে আছ।
ReplyDelete