Pages - Menu

Wednesday, September 28, 2016

ধীমান চক্রবর্তী

নিকানো

বাড়ির সামনে দিয়ে চলে যায়নি
                            সাদা কাচের নদী
সারিয়ে নিলাম ভাঙা চশমা
রঙের পিঠে হাত বুলিয়ে তাকে নিরাময়ে আনি
                                            একঝাঁক চিঠি
উড়ছে এয়ারোড্রোমের সন্ধেবেলায়
সারা জীবনেও নতুন জমানো কারোর খবর
কোনও নক্ষত্র বা হলুদ পাতার কাছে 
                                          পৌঁছে দিইনি
ওখানেই তো মাধ্যাকর্ষণের শেষ
খুল যা সিমসিম গান গেয়ে
                            সূচ ও সুতো
আধখোলা চোখে দেখে নিজের ভবিষ্যত
মাউস-বৃক্ষ থেকে ইঁদুর নেমে
অনুবাদ করে কমপিউটরের মরচেগুলো
                                 রাত্রিবেলা সরসবতী
বৃষ্টি মেখে শরীর ধুচ্ছে শরীর থেকে


প্রস্তাবনা 

বালিকা জলের কাছে
চুল ছড়িয়ে দিলে চাঁদ ও কুঠার উঠে আসে
বাংলাশব্দের এই থ্যাঁতলানো টিকটিকি
                                     অস্পষ্ট জল
তা কি নিজেরই ইচ্ছায়?
উড়ে আসে একে একে
টেবলে জড়ো হচ্ছে, রূপকথার মিথ্যে ছায়ারা
                                     গোলাবাড়ির প্রতিধবনি 
এবং স্কুলিং-ও তাহলে শেষতক এলো!
দ্বিতীয় পৃথিবীতে ভালোবাসা শুরু হয়
                                    মা শুরু হয়
পুরানো দিনের গান গাইতে গাইতে
শুঁয়োপোকা ওষুধের দোকান খোলে
সারাদিন হাঁটার পর একোরিয়ামে মাছ
                                     জুতো খুলছে
সকালবেলা অলক্ষ্মী
লাবণ্য লাবণ্য বলে ডাকছে পৃথিবীর শূন্যগুলিকে





2 comments:

  1. সাদা কাচের নদীর সামনে লাবণ্যকে লাবণ্য বলে ডাকলাম, আর লাবণ্যই উড়ে আসল একে একে ... অসাধারণ :)

    ReplyDelete
  2. প্রস্তাবনা ...খুব ভালো লেগেছে

    ReplyDelete