Wednesday, September 28, 2016
চাঁদের আলোয় পুড়ে
যেতে যেতে
কোন দরজাটা রেখেছ খুলে, শীতাতপ অন্ধকারে,
যদি জানা যেত, তোমার আগুন-ঘরে ঢুকে
যেতাম সহজেই। বাইরে কেবল উত্তাপ ছড়াও, অথচ কতটা নিকটে এলে
তাপমাত্রার মুখস্ত সূত্র মিথ্যে হয়ে যায়, জানো না। তোমার
আঙুলেরা তাই ঠোঁটে বারুদ নিয়ে পোড়ানোর অহঙ্কারে ভেঙে পড়ে আমার করতলে।
নখের ভেতর থেকে অজস্র কবুতর উড়ে আসে রক্তকনিকায়। বেরসিক তালাগুলো যদি আরো কিছু সহজ
হতো, ব্যক্তিগত
সমুদ্রে ভেসে উঠত নুনের জাহাজ। সুবোধ ডলফিন লাফিয়ে উঠে আবার ডুবে যেত নাভির
নির্জনতায়।
যতটা দূরত্বে আমাকে রেখেছ, তার চেয়েও গভীর
নৈকট্যে ডুবে ডুবে সন্ধ্যাগুলো মাতাল হয়ে ওঠে। জানো তো, নেশাগ্রস্ত
কোনো রেলগাড়ি বুকের ভেতরে একবার হুইসেল বাজালে তাকে আর থামাতে নেই। হাটের দিনে
সবার শেষে ঘরে ফেরা মানুষটির নিঃসঙ্গতা কখনও লেখা হয়নি বলেই, জানো না, তোমার ভেতরেও ঘুমিয়ে আছে ভেজা
শালিকের ওম। ডানার ভাঁজ খুলে উড়ে যাওয়ার নিয়ম যদি ভুলে যাও, বাতাসের চুম্বনে মিশিয়ে নাও কিছু মৃত্যুর অর্গান।
প্রতিদিনই জানছি, তুমি এক
ক্ষুধার্ত ডায়েরি। একটু একটু করে গিলে খাচ্ছ আমার সমস্ত রোজনামচা। পৃষ্ঠার পর
পৃষ্ঠা মেলে দিয়ে শুয়ে থাকো ঘুমহীন রাত্রির ছাদে। ঠিক তখনই মেঘের হুক খুলে নেমে
আসে আলিঙ্গন। পৃথিবীর মানচিত্র মুছে যা গুঁজে দিয়েছিলাম তোমার হাতের রেখায়।
কণ্ঠনালীতে আটকে থাকা নাম যদি কখনও তোমাকে জাগায়, দরজার
পাসওয়ার্ড ভেঙে আমাকে ডেকো। চাঁদের আলোয় পুড়ে যেতে যেতে আমি দাঁড়িয়ে আছি, রাতের শেষ স্টেশনে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment