তিন ছত্র পাহাড়
১.
প্রাচীন প্রাসাদে পড়ে
থাকি। আগুন টেনে দেয় হুঁকাবরদার। হুঁকা আর জীবন সমার্থক যদিও—এবং হৃদয় এক অমিমাংসীত পাহাড়।
মনে পড়ে ইয়াজুজ মাজুজের কথা, গগ ম্যাগগ
যার মুদ্রিত নাম। আদতে সীসায়, প্রকৃতে অনাত্মীয় জ্ঞানে
টেনে দিতে হলো বিরুদ্ধতোরণ। অথচ, পাহাড়; প্রবীণতর এক সম্পর্কের নাম এবং জন্মসূত্রে আমাদের কাজিন।...
শ্যেনদৃষ্টে এখন, তাকায় আলেক্সান্ডার। কাসপিয়ান গেটে খণ্ডিত—হৃদয় তেমনই টুকরো পাহাড়, অপটু স্যাকারের হাতে অযত্নে ঘোরে প্রতিদিন। টলে ওঠে নবীন হাপর, সহসা করুণ।
২.
ওই পাহাড়গুলো, চিরকালের মিস্ট্রি। কোন জীবনে উড়ে এসে জুড়ে
গেছে! রেলব্রিজ থেকে স্তব্ধ টাইগারপাস দেখি। নির্ধারিত খাপে লেগে গেছে সকল
ল্যাম্পপোস্ট; শিখরে, দু’ডানায় ক্ষীণ আলো নিয়ে দাঁড়ানো—যেনো বহুদিন হলো প্রেম ছেড়ে গেছে। আচমকা উড়ে যাবে ছড়িয়ে অন্ধকার;
আমাকে বসিয়ে রেখে যাবে সে।
৩.
পাহাড়ে বসে আছি আমি।
নিচে গাড়ির ফ্লাড আলোয় যে উজ্জ্বল সাপিনী বেঁকে, সে কারে ধাওয়া করে জোরে? আমি পালাতে চেয়েছি রোজ তেমন ধাওয়ায়। আমার ঊর্ধ্বে বাদুড়গুলো কেনো ওড়াউড়ি করে খুব জানি। চিরদিন পাহাড়ে চড়েও আমার উড়ে যাওয়া হলো না
হাওয়ায়।
0 comments:
Post a Comment